করোনা লাইভ আপডেট

নং দেশ আক্রান্ত মৃত্যু সুস্থ
বাংলাদেশ ৩৩০ ৩৩ ২১
আমেরিকা ৪৩২৪৩৮ ১৪৮০৮ ২৪১২৫
স্পেন ১৪৮২২০ ১৪৭৯২ ৪৮০২১
ইতালি ১৩৯৪২২ ১৭৬৬৯ ২৬৪৯১
জার্মানী ১১৩২৯৬ ২৩৪৯ ৪৬৩০০
ফ্রান্স ৮৩০৮০ ১০৮৮৭ ২১৪৬১
চায়না ৮২৮৭০ ৩৩৩৯ ৭৭৬৪৯
ইরান ৬৪৫৮৬ ৩৯৯৩ ২৯৮১২
ইউকে ৬১৪৭৪ ৭১১১ ৩৪৫
১০ তুর্কি ৩৮২২৬ ৮১২ ১৮৪৬
বিশ্ব ১৪৮৫৯৮১ ৮৮৫৬৭ ৩৩০৭৮২
সুত্রঃ আইইডিসিআর, ওয়ার্ল্ডোমিটার, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি

করোনার যে বিষয়গুলো জানা দরকার

নোভেল করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে এমন একটি নতুন ধরণের ভাইরাস যা আগে কখনো মানবদেহে পাওয়া যায়নি। ডিসেম্বর ২০১৯ এ চীনের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের কথা জানা যায়।

করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়ঃ
১। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/সর্দি/থুথু) এবং
২। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে একজন থেকে আরেকজন ছড়ায়।

হ্যাঁ, কোভিড-১৯ ইনফেকশন মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে;
১। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/সর্দি/থুথু) এবং
২। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে করোনা ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।

কেউ এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২-১৪ দিনের মধ্যে তার শরীরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ পাবে।

করোনা ভাইরাসের জীবাণু(কোভিড-১৯) শরীরে প্রবেশ করার পরপরই তার উপসর্গ দেখা দেয় না। তাই করোনা আক্রান্ত দেশ ঘুরে আসার পর বা আক্রান্ত রোগী সংস্পর্শে আসার পর হতে পারে সংক্রমণ। আসলেই কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত কি-না তা পরিষ্কার হতেই সময় লাগে সপ্তাহ খানেক। আর এজন্যই রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে।

অন্য রোগীদের কথা ভেবে এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয় না। এখানে সময়সীমা ১৪ দিন। এসময় বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়, রোগীর সঙ্গে কম যোগাযোগ করতে বলা হয়। মেনে চলতে হয় স্বাস্থ্যবিধি।

কোনো ব্যক্তি যখন নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনের সব নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের যোগাযোগ বন্ধ রাখেন সেটিই হোম কোয়ারেন্টিন। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারনে বা আক্রান্ত দেশ ঘুরে আসার পর বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এটা মূলত করা হয় শরীরে কভিড-১৯ রোগ বাসা বেঁধেছে কি-না তা জানার জন্য।

এর মেয়াদও ১৪ দিন। এই ১৪দিন একটি নির্দিষ্ট ঘরে সকলের কাছ থেকে আলাদা থাকতে হবে। স্কুল, কলেজ, বাজার সহ এরুপ জমায়েতে যাওয়া যাবেনা। গণ পরিবহণে উঠা যাবে না। আলাদা বাথরুম, আলাদা বাসনপত্র ব্যবহার করতে হবে। সব সময় জীবাণুনাশক দিয়ে ঘর পরিষ্কার করতে হবে। কারো সাথে সাক্ষাৎ করা যাবেনা। সাক্ষাৎ জরুরী হলে কমপক্ষে ৩ফুট দূরত্ব রাখতে হবে।
এসময়ের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন খাবার খেতে হবে এবং সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

কারও শরীরে যদি করোনা ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হয় অর্থাৎ কারও যদি করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে তবে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এসময় চিকিৎসক এবং নার্সদের তত্ত্বাবধানে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে থাকতে হবে। এর মেয়াদ ১৪ দিন। রোগীর অবস্থা দেখে বাড়ানো হয় মেয়াদ।

এসময়ের মধ্যে রোগীর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয় না সাধারণত। এসময়ের মধ্যে রোগীকে কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয় যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা অনেকেই এ পদ্ধতিতে সুস্থ হন আবার যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের পক্ষে সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন হয়ে যায়।

নিন্মলিখিত পদ্ধতিগুলো কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকরী তো নয়-ই বরং আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে-
১। ধূমপান
২। দেশীয় ভেষজ ঔষধ খাওয়া
৩। অনেকগুলো মাস্ক পরা
৪। নিজে নিজে ঔষধ, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা।


যদি আপনার জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট থাকে তবে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল/ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হউন এবং অতিরিক্ত অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমান।
চিকিৎসকের কাছে আপনার সাম্প্রতিক ভ্রমণ বৃত্তান্ত পূর্ণাঙ্গভাবে বলুন ।

মাংস, ডিম ও মাছ সহ সকল খাবার ভালোভাবে রান্না করে খাবেন

হ্যাঁ, এটা নিরাপদ। যেহেতু এই ভাইরাস মানব দেহের বাইরে বেশিক্ষন বেঁচে থাকতে পারে না, সুতরাং এই গুলো গ্রহণ করায় কোন ঝুঁকি নেই।

TOP