ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি (Diploma in Medical Technology)
আপনি কি বিগত দশ বছরের মধ্যে এসএসসি বা সমমান পাশ?
আপনি কি কোন কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহনের কথা ভাবছেন?
আপনি কি মেডিকেল টেকনোলজিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান?
তাহলে আপনি শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অধিভুক্ত সাইক ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজিতে নিম্নোক্ত যেকোন কোর্সে যেমনঃ
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং/ল্যাবরেটরী/ডেন্টাল/ফিজিওথ্যারাপি/ফার্মেসী/রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং টেকনোলজিতে ভর্তি হতে পারেন।
ভর্তি যোগ্যতাঃ বিগত দশ বছরের মধ্যে দেশের যেকোন শিক্ষা বোর্ড হতে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ন শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া ১ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্নকারীরা এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার যোগ্য।
ভর্তির জন্য যা যা প্রয়োজনঃ ভর্তির জন্য এসএসসি’র মূল মার্কশিট/সার্টিফিকেট, প্রশংসা পত্রের ফটোকপি ও ৪ কপি ছবি লাগবে।
ভর্তি বিষয়ক যেকোন প্রশ্নের উত্তর জানতে ইনবক্স করুন www.facebook.com/simt.medical, ফোন করতে পারেন আমাদের হেল্পডেস্কে 09638 515151 বা 01936-005804, 01726-653364 এই নাম্বারে।
সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেনঃ সাইক টাওয়ার,এম-১/৬, মিরপুর-১৪, ঢাকা
আরও বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করুন www.saicmedical.edu.bd
- Published in Blog
১ বছর মেয়াদী মেডিকেল সার্টিফিকেট কোর্স (Medical Short Course)
আপনি কি এসএসসি পাশ?
আপনি কি অল্প সময়ে কম খরচে কোন কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহনের কথা ভাবছেন?
আপনি কি মেডিকেল টেকনোলজিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান?
তাহলে আপনি শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অধিভুক্ত সাইক ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজিতে নিম্নোক্ত ১ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্সে যেমনঃ নার্সিং, ফার্মেসি, ডেন্টাল, ল্যাবরেটরী, ফিজিওথেরাপি, প্যারামেডিকেল, রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং ভর্তি হতে পারেন।
ভর্তি যোগ্যতাঃ যে কোন সাল ও বিভাগ থেকে এসএসসি/সমমান পাশ।
ভর্তির জন্য যা যা প্রয়োজনঃ ভর্তির জন্য এসএসসি’র মূল মার্কশিট, প্রশংসা পত্রের ফটোকপি ও ৪ কপি ছবি লাগবে।
ভর্তি বিষয়ক যেকোন প্রশ্নের উত্তর জানতে ইনবক্স করুন www.facebook.com/simt.medical, ফোন করতে পারেন আমাদের হেল্পডেস্কে 09638 515151 বা 01936-005804, 01726-653364 এই নাম্বারে।
সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেনঃ সাইক টাওয়ার,এম-১/৬, মিরপুর-১৪, ঢাকা
আরও বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করুন www.saicmedical.edu.bd
- Published in Blog
কেন সাইক আপনার প্রথম পছন্দ হবে?
১। নিজস্ব ক্যাম্পাস
২। অভিজ্ঞ ফুলটাইম এবং পার্টটাইম শিক্ষক/শিক্ষিকা দ্বারা পাঠ দান
৩। প্রতিটি ব্যাচ-এর জন্য মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষের মাধ্যমে পাঠ দানের ব্যবস্থা রয়েছে।
৪। আমাদের পর্যাপ্ত বই সমৃদ্ধ বিশাল লাইব্রেরী আছে, যেখানে অনলাইন লাইব্রেরীর ব্যবস্থা রয়েছে।
৫। ছাত্র/ছাত্রীদের একাডেমিক দক্ষতা মূল্যায়ন করার জন্য মধ্যপর্ব পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা, আইটেম কার্ড, ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতি পর্যবেক্ষন করে অভিভাবকের সাথে আলোচনা করা হয়।
৬। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫০০ আসন বিশিষ্ট পৃথক-পৃথক ৫ টি আবাসিক হোস্টেল
৭। অত্র প্রতিষ্ঠান বিগত দিনগুলোতে জব প্লেসমেন্ট সেলের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের চাকুরী নিশ্চিত করে আসছে।
৮। সরকারী হাসপাতালসমূহে ইন্টার্নি ও ফিল্ড ট্রেইনিং-এর ব্যাবস্থা
সাইক টাওয়ার
এম-১/৬, মিরপুর-১৪, ঢাকা।
(মিরপুর-১৩, সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে)
Helpline: 09638515151, Hotline: 01726653364, 01936005804
- Published in Blog
পেশা হিসেবে নার্সিং
প্রফেশান হিসেবে নার্সিং সাইন্স কেমন? জানতে হলে এই ভিডিওটি দেখুন।
সারাদেশব্যাপি কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের #কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহনের প্রয়াস বাস্তবায়নে #বেসরকারি পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাইক গ্রুপ পরিচালিত সাইক নার্সিং কলেজ। যেখানে রয়েছেঃ দূরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক-পৃথক ৫০০ আসনের ৫ টি #হোস্টেল, ১২ হাজারেরও অধিক বই সমৃদ্ধ #লাইব্রেরী, অভিজ্ঞ প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল, কনসালট্যান্ট এবং এনাটমি, ফিজিওলজি, কেমেস্ট্রি, কম্পিউটার সহ নার্সিং-এর সকল বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর।
সাইক নার্সিং কলেজে নার্সিং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সমৃদ্ধ যেসকল #ল্যাব ফ্যাসিলিটি রয়েছেঃ
• নার্সিং ল্যাব
• মিডওয়াইফারি ল্যাব
• নিউট্রিশন ল্যাব
• ফিজিওলজি
• এনাটমি
• মাইক্রোবায়োলজি
• বায়োকেমিস্ট্রি
• কম্পিউটার
এছাড়াও অত্র প্রতিষ্ঠান বিগত দিন গুলোতে #JobPlacementCell এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরি সুনিশ্চিত করেছে এবং আগামিতেও করবে।
সাইক নার্সিং কলেজ
সাইক টাওয়ার, এম-১/৬, মিরপুর-১৪
(মিরপুর-১৩, সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত)
ওয়েবসাইটঃ www.saicmedical.edu.bd
মুঠোফোনঃ 01726-653364, 01936-005804
- Published in Blog
পেশা হিসেবে নার্সিং
আপনি কি #ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য …
বিপুল শিক্ষিত জনগোষ্ঠী’র কর্মসংস্থানে কর্মমুখী #শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে এখনকার সময়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, বলার আছে শুধু আপনি/আপনারা কোন পেশায় নিয়োজিত হবেন বা আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোন কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন।
২০১৫ সালে সরকারীভাবে ১০ হাজার #নার্স #নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরও ৩৬১৬ জন সিনিয়র #স্টাফ_নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। এরকম প্রতিবছরেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয়া হয়। চাইলে আপনিও পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন নার্সিং।
এই মুহূর্তে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কিভাবে আপনি নার্স হতে পারবেন?
নার্সিং পেশায় চাহিদা বৃদ্ধির ফলে সরকারি পর্যায়ে ছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেমন সাইক নার্সিং #কলেজে ও (#সাইক টাওয়ার, এম-১/৬, মিরপুর-১৪, ঢাকা) #বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক/পোস্ট বেসিক) ও #ডিপ্লোমার সুযোগ আছে। এসএসসি ও এইচ এসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্নরা নার্সিং কলেজে বিএসসি কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও যেকোন বিভাগ থেকে উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্নরা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ডিপ্লোমা শেষে দুই বছর মেয়াদী পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে অংশ নেয়ার সুযোগ আছে এছাড়াও অর্থোপেডিকস, সাইকিয়াট্রিক, পেডিয়াট্রিক, সিসিইউ, আইসিইউ ও কার্ডিয়াক নার্সিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এক বৎসর মেয়াদী কোর্স চালু আছে।
কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহনের এই প্রয়াস বাস্তবায়নে #বেসরকারি পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাইক গ্রুপ পরিচালিত সাইক নার্সিং কলেজ। যেখানে রয়েছেঃ দূরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক-পৃথক ৫০০ আসনের ৫ টি #হোস্টেল, ১২ হাজারেরও অধিক বই সমৃদ্ধ #লাইব্রেরী, অভিজ্ঞ #প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল, কনসালট্যান্ট এবং #এনাটমি, #ফিজিওলজি, #কেমেস্ট্রি, #কম্পিউটার সহ নার্সিং-এর সকল বিষয়ের বিশেষজ্ঞ #অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল #ইন্সট্রাক্টর।
সাইক নার্সিং কলেজে নার্সিং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সমৃদ্ধ যেসকল #ল্যাব ফ্যাসিলিটি রয়েছেঃ
• নার্সিং ল্যাব
• #মিডওয়াইফারি ল্যাব
• #নিউট্রিশন ল্যাব
• #ফিজিওলজি ল্যাব
• #এনাটমি ল্যাব
• #মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব
• #বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব
• #কম্পিউটার ল্যাব
এছাড়াও অত্র প্রতিষ্ঠান বিগত দিন গুলোতে #JobPlacementCell এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরি সুনিশ্চিত করেছে এবং আগামিতেও করবে।
মিরপুর-১৩, সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত সাইক নার্সিং কলেজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করুনঃ www.saicmedical.edu.bd -এই ওয়েবসাইটে কিংবা #যোগাযোগ করুন 01936005804-এই নাম্বারে।
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন পেশা হিসেবে নার্সিং কেমন?
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের সময়ে নার্সিং পেশাকে সমাজে ছোট কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মা-বাবার আপত্তি সত্ত্বেও তিনি এ সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। জীবদ্দশায় ‘এ লেডি উইথ দ্যা ল্যাম্প’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই কিংবদন্তী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল কে আধনিক সেবার অগ্রদূত বলা হয় যার খ্যাতি দুনিয়া জুড়ে।
এখন হয়তো ভাবছেন নার্স হলে কি-কি কাজ করতে হয়?
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে দিনে আট ঘন্টা কর্মস্থলে থাকতে হয়। #হাসপাতালগুলোতে তিন শিফটে নার্সদের #ডিউটি বন্টন করা হয় যেমনঃ সকাল, বিকাল বা রাতের শিফটে ডিউটি করেন একজন #নার্স। অতিরিক্ত কাজের জন্য দেয়া হয় ওভারটাইমও।
ডাইরেক্টর অব নার্সিং সার্ভিসেসের উপপরিচালক নীলুফার ফরহাদ জানান, রোগীর দেখভাল করা, সময়মত ওষুধ খাওয়ানো, #স্যালাইন পুশ করা, #ইনজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্রা ঠিক আছে কি না তা দেখা, #রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন, রোগীর যে কোন অসুবিধা চিকিৎসককে জানানো-এ ধরনের সব কাজই করেন #সেবক/সেবিকারা।
সবতো হল এখন জানাচ্ছি একজন নার্সের আর্থসামাজিক মূল্যায়ন এবং #পদোন্নতির সুযোগ
এখন বেশি নিয়োগ হচ্ছে সিনিয়র ‘#স্টাফ_নার্স পদে। একজন সিনিয়র নার্স দ্বিতীয় শেনীর পদমর্যাদা পেয়ে থাকেন। শুরুতেই একজন স্টাফ নার্সকে ২০১৫ সালের বেতনক্রমে ১৬,০০০- ৩৮৬৪০ টাকা #স্কেলে #বেতন দেয়া হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে একজন নার্স ১০০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করতে পারেন।
একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স তিন থেকে চার বছরে প্রথম পদোন্নতি পেয়ে নার্সিং #সুপারভাইজার পদমর্যাদা পান। দ্বিতীয় ধাপে জেলা পাবলিক হেল্থ নার্স, হাসপাতাল গুলোতে ডেপুটি নার্সিং #সুপারিনটেনডেন্ট, ওটি #সুপারভাইজার, নার্সিং কলেজে #ইন্সট্রাক্টর, #ডেমোনেট্রেটর, ইনস্টিটিউটে নার্সিং ইন্সট্রাক্টর বা ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ হতে পারেন।
পরবর্তী ধাপে হাসপাতালে নার্সিং অধিদপ্তরে প্রজেক্ট #অফিসার ও সহকারী #পরিচালক পদে পদোন্নতির সুযোগ আছে।
পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু কিংবা পরিবারের কারো সাথে শেয়ার করুন। ক্যারিয়ার বিষয়ক এইরকম নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের আমাদের ফেইসবুক পাতায় চোখ রাখুন।
তথ্যসূত্রঃ আরাফাত শাহরিয়ার -এর ‘হাতের মুঠোয় স্বপ্নের চাকরি’ বই থেকে।
- Published in Blog
ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং: (ফিজিওথেরাপি)
ছোটবেলায় একবার ঈদে ছোট চাচা (#ডাক্তার) আমাকে একটা স্টেথোস্কোপ উপহার দিয়েছিলেন, ১২ বৎসর বয়সে সেই স্টেথেস্কোপ নিয়ে আমার সে কি আগ্রহ। কখনো স্টেথোস্কোপ’টা গলায় ঝুলাচ্ছি কখনো সেই যন্ত্রটা দিয়ে বাড়ীর আশ-পাশের সহপাঠিদের মিছে-মিছি নানান রকমের পরীক্ষা করছি। বাবা আমার এইরকমের আগ্রহ দেখে মুখ ফুটে বলেই ফেলেছিলেনঃ ‘ছেলেটা যদি বড় হয়ে ডাক্তার হয়, আহা!’
সেই ছোটবেলা থেকেই বাবার স্বপ্ন আমারও স্বপ্ন হয়েছিল। দেখতে-দেখতে কৃতিত্বের সাথে #মাধ্যমিক (জিপিএ ছিলঃ ৫.০০) ও #উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলাম (জিপিএ ছিলঃ ৪.৯০) ।
পারিবারিক টানা-পোড়ন আর মানসিক হতাশার কারনে শেষমেশ আর #এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফর্মটাই তোলা হয় নাই, পরবর্তীতে আমার সেই ডাক্তার চাচার পরামর্শে #বিএসসি #ফিজিওথেরাপিতে ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে থাকি। চাচা তখন বলেছিলেন এই কোর্স শেষ করে #সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারী হাসপাতালসমূহে #৯মগ্রেডে ফিজিওথেরাপিস্ট পদে যোগদানের সুযোগ রয়েছে।
আমাদের সময়ে এসএসসি ও এইছএসসি উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ কমপক্ষে ২.৫ পেয়ে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা (বর্তমানে উভয় পরীক্ষায় ৭.০০ পয়েন্ট পেতে হয়) কিংবা #ডিপ্লোমা_ইন_ফিজিওথেরাপি কৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীরাই কেবল বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারতো।
#ভর্তি_পরীক্ষা দেয়ার পর সরকারী পর্যায়ে আসন অপ্রতুলতার কারনে ঢাকাতে কয়েকটি #প্রাইভেট_ইন্সটিটিউট-কলেজে ভিজিট করি। ঢাকা থেকে হতাশ হয়ে আবার গ্রামে ফিরে আসি। তারপর আমার এক পরিচিত সিনিয়র ল্যাব টেকনোলজিস্ট ভাইয়ের কাছ থেকে সাইকের নাম শুনে আবার ঢাকায় তাদের ক্যাম্পাস ভিজিট করতে আসি। পরবর্তীতে কয়েকটি বিষয়ের উপর আলকপাত করে যেমনঃ
দূরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫০০ আসন বিশিষ্ট পৃথক-পৃথক ৫টি #হোস্টেল,
অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী (ডাক্তার,#ফিজিওথেরাপিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট),
#লাইব্রেরীতে ১২ হাজারেরও অধিক বিষয়ভিত্তিক ও রেফারেন্স সমৃদ্ধ বইয়ের সমাহার,
স্বনামধন্য সরকারী হাসপাতাল যেমনঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালে #ইন্টার্নী করার সুবিধা,
ছাত্র/ছাত্রীদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ফিজিওথেরাপি #বহিঃবিভাগ এবং পাশাপাশি থেরাপিউটিক জিমের ব্যবস্থা,
নিজস্ব ডায়গনষ্টিক ল্যাবে গ্রুপ ডিসকাশন সহ হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ,
ক্যাম্পাসের সকল ক্লাসে C.C.TV #ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষন,
শিক্ষক/শিক্ষিকাদের কর্মদক্ষতা, #সময়ানুবর্তিতা পর্যবেক্ষন করার জন্য উন্নত পর্যবেক্ষন ব্যবস্থা,
দক্ষ #ল্যাব_ইন্সস্ট্রাক্টর দ্বারা ল্যাব পরিচালনা,
#ক্যান্টিনের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য মান সম্মত খাবারের ব্যবস্থা,
প্রতিটি ব্যাচের জন্য #মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষের মাধ্যমে পাঠ দানের ব্যবস্থা,
একাডেমিক দক্ষতা মূল্যায়ন করার জন্য মধ্যপর্ব পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা, আইটেম কার্ড,
ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতি পর্যবেক্ষন করে #অভিভাবকের সাথে আলোচনা পর্বের ব্যবস্থা,
তাছাড়া বাংলাদেশে বেসরকারী মেডিকেল ইন্সটিটিউট গুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র সাইক কলেজ অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এসসিএমএসটি) তাদের #নিজস্ব_ক্যাম্পাসে ক্লাস পরিচালনা করছে
এতোসব সুবিধা সম্পর্কে অবগত হয়ে ফাইনালি #সাইক কলেজ অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপিতে ভর্তির জন্য ফর্ম তুলি, সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, #এসএসসি ও #এইচএসসি’র মার্কশিট , সার্টিফিকেট ও প্রশংসাপত্রের ফটোকপি সহ নির্ধারিত ভর্তি ফি জমা দিয়ে অবশেষে সাইক পরিবারের সদস্য হয়ে যাই।
পড়াশুনা যখন শেষের দিকে তখন আমাদের বিভাগীয় প্রধান স্যারের কাছ থেকে জানতে পারলাম আমাদের অত্র প্রতিষ্ঠানেই #এমএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সটি প্রস্তাবিত পর্যায়ে আছে, তাছাড়াও চট্টগ্রাম ও রাজশাহী #বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে #আইএইছটি-তেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে আমি সাইক থেকে বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সটি সম্পন্ন করে সাইক কলেজ অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি পরিচালিত ‘সাইক ফিজিওথেরাপি এন্ড #রিহ্যাবিলিটেশন সার্ভিসেস’-এ ‘ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট’ পদে চাকুরী করছি।
ধন্যবাদ সাইক জীবনটাকে এতো সুন্দর,আর নির্মল আনন্দের উপলক্ষের মঞ্চ হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য।
এতোক্ষণ শুনছিলেন ফিজিওথেরাপিস্ট মারুফের ’জার্নি উইথ সাইক’ শীর্ষক একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হয়ে উঠার গল্প। মারুফের মতো যারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে কিংবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন সাইক কলেজ অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি হতে পারে আপনাদের প্রথম পছন্দ।
সাইক টাওয়ার, এম-১/৬, মিরপুর-১৪, #ঢাকা।
(মিরপুর-১৩, সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে)
Helpline: +8809638 515151, Hotline: 01936 005804
www.saicmedical.edu.bd
- Published in Blog
ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং: (ম্যাটস)
অসুস্থ বাবাকে সাথে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় বসে আছে ফারিহা। ভিতর থেকে পিয়ন ডাকলঃ ফয়জুল আবেদিন..বাবা ডাক্তারের রুমে চলে গেলেন।
ফারিহা ভাবছে – S.S.C-তে অসন্তোষজনক ফলাফলের জন্য পাবলিক কোন কলেজে সুযোগ পেল না। অকস্মাৎ ফারিহার মাথায় একটা হাতের স্পর্শ – কি ভাবছ, ফারিহা? প্রশ্ন করলেন এখানকার উপসহকারী কমিউনিটি অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা।
ফারিহাঃ আপু, অনেক ইচ্ছে ছিল মেডিকেল সাইন্সে পড়া-শুনা করার। সুযোগ হবে না মনে হয় ! প্রাইভেট #IHT কিংবা #MATS-এ শুনেছি অনেক খরচ আর পড়া-শুনার মান সম্পর্কেও তেমন একটা জানি না..
আয়েশাঃ তোমাকে অনেক প্রতিষ্ঠানের ভীড়ে স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানটিকে খুঁজে নিতে হবে। তুমি কি #SAIC_Group পরিচালিত সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (সাইক ম্যাটস) ভিজিট করেছ?
ফারিহাঃ না, তবে আমি আমার এক বান্ধবীর কাছ থেকে শুনেছি সাইক পরিবেশবান্ধব নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
আয়েশাঃ শুধু তাই নয়, ওখানে গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক-পৃথক হোস্টেলে স্বল্প খরচে থাকা-খাওয়া এবং মেয়েদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
ফারিহাঃ আপু, ওখানকার পড়াশুনার মান কেমন?
আয়েশাঃ সাইকে #MBBS, #Medical_Technologist দ্বারা খুব যত্ন সহকারে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। তাছাড়াও #SAIC_Group পরিচালিত নিজস্ব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ইন্টার্নি করার সুযোগ আছে।
ফারিহাঃ আচ্ছা আপু, কোর্স শেষে সাইক থেকে কি চাকুরী’র ক্ষেত্রে কোন প্রকারের সহযোগিতা করা হয়? আর সাইকে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া কি?
আয়েশাঃ পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে চাকুরী ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সাইক গ্রুপের একটি ‘জব প্লেচমেন্ট সেল’ রয়েছে। আমি ফোন নাম্বারসহ তোমাকে একটা ঠিকানাটা লিখে দিচ্ছি.. তুমি চাইলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারো।
সাইক টাওয়ার, এম-১/৬, মিরপুর-১৪, ঢাকা।
(মিরপুর-১৩, সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে)
Helpline: +8809638515151, Hotline: 01936005804
ফারিহাঃ আমি কাগজটা রাখলাম, দোয়া রাখবেন আমার জন্য। |
আয়েশাঃ শুভকামনা রইল তোমার জন্য যেন দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী হয়ে সাধারন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়জিত করতে পারো।
ফারিহা’র মতো যারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে কিংবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (সাইক ম্যাটস) হতে পারে আপনাদের প্রথম পছন্দ।
“তৈরি করবো স্বাস্থ্যকর্মী দক্ষ, সেবাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।”
- Published in Blog
ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের কিছু সাধারন প্রশ্নের উত্তর
ম্যাটস-IHT কিংবা মেডিকেল সায়েন্সের অন্য কোন বিষয়ে পড়লে কি #চাকুরী নিশ্চিত?
সাধারন শিক্ষায় পড়াশোনা করে আমাদের দেশে বেকারের সংখ্যা শতকরা (প্রায়) ৬৫ জন, যেখানে #ম্যাটস–#IHT কিংবা #মেডিকেল সায়েন্সের অন্যান্য বিষয় থেকে পাশ করে বর্তমানে শতকরা ৬০ জন চাকুরী করছে বিভিন্ন #সরকারী ও #বেসরকারি মেডিকেল #কলেজ, #হাসপাতাল, #ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, #ক্লিনিক, #ডায়াগনস্টিক, #রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার সহ স্বনামধন্য সব মেডিকেল প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও দেশীয় #এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় শতকরা ১০ জন, #শিল্পকারখানার #স্বাস্থ্য বিভাগে শতকরা ১০ জন এবং #চেম্বার/স্বনির্ভর #ব্যাবসায় শতকরা ১৫ জন জড়িত।
সাইকে কেন ভর্তি হবেন?
আমাদের উন্নত ল্যাব সুবিধা, অভিজ্ঞ ও বিশ্বমানের ফ্যাকাল্টি, রেফারেন্স সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, আবাসিক সুবিধা ও সরকারী পর্যায়ের হাসপাতালে ইন্টার্নী করার সুবিধা সহ নিজস্ব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকে হাতে-কলমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করার নিশ্চয়তা রয়েছে।
#সাইক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মান নিয়ে কখনো আপোষ করে না এছাড়াও #JobPlacementCell-এর মাধ্যমে কোর্স শেষে কৃতকার্য #ছাত্র-ছাত্রীদের শতভাগ চাকুরী নিশ্চায়ন বিগত দিন গুলোতেও করে এসেছে এবং আগামিতেও করবে। তাই সাইকের ছাত্র-ছাত্রীদের চাকুরী প্রাপ্তি কিংবা স্বনির্ভরতা যখন প্রাতিষ্ঠানিক ভাবমূর্তির প্রশ্ন তখন আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের চাকুরী প্রাপ্তি শুধু নিশ্চিত নয় সুনিশ্চিত।
ঢাকায় পড়ার খরচ কি বেশী?
না, ঢাকায় পড়ার খরচ প্রাতিষ্ঠানিক #শিক্ষক, শিক্ষার #পরিবেশ এবং উপরে উল্লেখিত সাইক থেকে প্রদত্ত সকল সকল সুযোগ-#সুবিধা বিবেচনায় তুলনামুলক অনেক কম। জেলা শহরের চেয়ে #ঢাকাতে থাকা-খাওয়া বাবদ মাসে হয়তো হাজার খানেক টাকা বেশী খরচ হবে। তাও সীমিত সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়ার চেয়ে ঢাকায় #কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
ঢাকায় কেন পড়বো?
পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ ও দক্ষ #শিক্ষক এবং আমাদের নিজস্ব বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকে হাতে-কলমে শিক্ষার সুযোগ ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ায় ঢাকাতে বাস্তব #প্রশিক্ষনের সুযোগ অনেক বেশী। তাছাড়া পাশ করার পর দেশী ও আন্তর্জাতিক সকল সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকা হওয়াতে এখানে চাকুরীর সুযোগও বেশী।
- Published in Blog
একজন নার্স হয়ে উঠার গল্প
তখন কেবল অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি, সড়ক দুর্ঘটনায় বাবার রক্তক্ষরণ আর অসুস্থতায় মুহূর্তেই আমাদের সংসারে টানা-পোড়ন নেমে আসে। পড়া লেখার প্রতি আমার পরিবারের অনাগ্রহ থাকার পরও আমার অদম্য #ইচ্ছা শক্তি আর মানসিক একাগ্রতায় ২০০৯ সালে #মানবিক বিভাগ থেকে #এসএসসিতে জিপিএ ৪.৩১ পাই।
মাধ্যমিক পাশের পর একদিকে অভাব আরেকদিকে বাবার #স্বপ্নঃ ‘মা আমার স্বপ্ন তুই #নার্স হবি, বহুদিন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবি।’ কিন্তু সে সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ধ্যান-ধারনা, নার্সদের রাত-বিরাতে #ডিউটি আর সর্বোপরি কর্ম পরিবেশে নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমি ব্যাক্তিগতভাবে সন্দিহান ছিলাম। তাছাড়া পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য তড়িঘড়ি, সব মিলিয়ে সে যাত্রায়ও নার্স হওয়া অধরাই রয়েই গেলো।
২০১১ সালে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৪০ পেয়ে #উচ্চমাধ্যমিক পাশ করি। এসএসসির পর এইচএসসিতেও জিপিএ ৫ পাইনি বলে বাড়ি থেকে স্রেফ জানিয়ে দিলো স্থানীয় কলেজে ডিগ্রীতে ভর্তি করানো ছাড়া পারিবারিক ভাবে আমাকে নিয়ে আর ভিন্ন কোন চিন্তা নেই। তারপর ২০১২ সালের জুলাই মাসের ৫ তারিখে পারিবারিক তোপের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হই। বিয়ের পর আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে একটা কথা বলতো ‘তুমি শিক্ষিত হও, শিক্ষিত মেয়ে মানে #শিক্ষিত মা।‘ এতোকিছুর পরও সার্বিক পরিস্থিতি যখন অনুকূলে তখন নেমে এলো আমার জীবনের সবচেয়ে কালো রাত… আমি যখন বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যাই, তখন হঠাৎ একরাতে আমার স্বামী ব্রেইন #স্ট্রোকে মারা যায় (তার আগে সে একবার মাথায় আঘাত পেয়েছিল)।
তখন আমার পেটে বাচ্চা, বয়স সাত মাস। স্বামীর অকাল প্রয়াণে মানসিক ভাবে অনেক ভেঙ্গে পড়েছি। বাচ্চার বয়স নয় মাসের মাথায় মানে দশ মাস হওয়ার আগেই আমার অসুস্থতা ও পুষ্টিহীনতায় প্রেগ্নেন্সির ব্যাথা হয়, তখন আমি #হসপিটালে ভর্তি হই। পরে আমি মেয়ে সন্তানের মা হই। তবে পুষ্টিহীনতায় ভোগার কারনে #ডাক্তার আমাদের মা-মেয়েকে নিউট্রিশন বিভাগে ট্রান্সফার করলো। দিন যাচ্ছে, বাচ্চা বড় হচ্ছে। আমার পরিবার ও মেয়েকে নিয়ে দিন যাচ্ছে। আর মনে-মনে একটাই #জিজ্ঞাসা, আমার মেয়েকে আমি কি মানুষ করতে পারবো?
মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আর অনার্স কমপ্লিট করা হলো না। শুধু অল্প সময়ে #কর্মমুখী কোন শিক্ষা গ্রহনের চিন্তা করতে লাগলাম। এমন সময়ে আমার দীদা আমার বাবাকে বললো , ‘নীপাকে এভাবে বসায় না রাইখা নার্সিং-এ #ভর্তি করায় দাও, মানুষের মধ্যে থাকলে ভালো থাকবো।‘ এই একটা বাক্য আমার জীবনকে #পরিবর্তন করে দিল তখন বাবা-মা নার্সিং সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যান-ধারনা থেকে বের হয়ে আমাকে #নার্সিং_সাইন্সে পড়ানোর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করলেন। মা বললঃ ‘তোমার সাথে যা হয়েছে সব লকারে রেখে পড়তে যা, তুই এখন নতুন নীপা।‘
২০১৪ সালে নার্সিং সাইন্সে ভর্তির সব রকম খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করি। ততদিনে #সরকারি পর্যায়ে আবেদন করার নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়ে যায়। তখন ঢাকাতে আমার এক বান্ধবীকে বললাম ‘#প্রাইভেটে নার্সিং করার জন্য #ঢাকাতে কোথায় ভর্তি হওয়া যায়?’ সে বলেছিল, তুমি #সাইকে এসে খোঁজ নিতে পারো, আমি শুনেছি ঢাকাতে একমাত্র সাইকেই দূরের ছাত্র-ছাত্রীদের থাকা খাওয়ার সুবিধাসহ #হোস্টেল, নিজস্ব স্থায়ী #ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক সব #ল্যাব, অভিজ্ঞ #শিক্ষক আর সরকারী বড়-বড় হাসপাতালে #ইন্টার্নী করার সুবিধাসহ নিজস্ব #ডায়াগনস্টিকস, হাসপাতালে হাতে-কলমে বাস্তব #প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে।
এরপর প্রিপারেশন নিয়ে সাইক ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজিতে চলে আসি এবং #ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজিতে ২০১৪-২০১৫ সেশনে ভর্তি হই। আমার মেয়েকে তখন আমার মায়ের কাছেই রেখে আসি, আমার একটাই ইচ্ছা ছিল যে, আমার মেয়ে যখন বুঝতে শিখবে তখন যেনো তাকে আমি একটা উন্নত জীবন দিতে পারি। তাই তাকে ছেড়ে ঢাকাতে পড়া-শুনা করতে কষ্ট হলেও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলাম। বাবা-মা, আমার মেয়ে সবাইকে ছেড়ে ঢাকাতে থাকার কষ্ট অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিলেন আমার আইডল রিমা বিশ্বাস #ম্যাম। এভাবে রিমা ম্যাম আর আমার পরিবারের অনবদ্য অনুপ্রেরণায় আমার জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল।
২০১৮-তে আমার পড়ালেখা শেষ হওয়ার সাথে-সাথেই মিরপুর #হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে #স্টাফ_নার্স হিসেবে যোগদান করি। তারপর #সুরক্ষা_জেনারেল ও শিশু হাসপাতালে #সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে চাকুরি পাই। বর্তমানে আমি #ন্যাশনাল_হার্ট_ফাউন্ডেশনে কর্মরত আছি। আমাদের সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের চাকুরী প্রাপ্তিতে সহযোগিতার জন্য আলাদা করে কোন ‘#জব_প্লেসমেন্ট সেল’ না থাকলেও একান্ত নিজের চেষ্টায় আমি যদি এতোটা দুঃসময় মোকাবেলা করে আসতে পারি তাহলে আমি বলতে চাই এখনকার সময়ে সাইকের ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের চেয়ে ঢেড় বেশীই ভাগ্যবান, তাদের জন্য এখন কতো-কতো সুযোগ-সুবিধা।
সত্যি কথা বলছিঃ আমি, আমার পরিবার, আমার মেয়ে আমরা সবাই এখন অনেক ভালো আছি। বিভীষিকাময় অদূর অতীতের আর্থিক ও মানুষিক অনিরাপত্তার কথা ভাবলে অনেক কষ্ট হয়, এতোটা পথ কিভাবে পাড়ি দিলাম! #ইচ্ছাশক্তি, #দৃঢ়তা, নার্সিং শিক্ষা আর আমার প্রাণের ক্যাম্পাস ‘সাইক’-এইসবই সমাজের হতাশাগ্রস্ত অন্যসব মেয়েদের চেয়ে আমাকে বহুদূর এগিয়ে দিয়েছে।
নিপা রাণী ভক্ত
প্রাক্তন #ছাত্রী
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজি
#সেশানঃ ২০১৪-২০১৫
#সাইক ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি
- Published in Blog
Journey With SAIC : Admission Story
নার্সিং স্টুডেন্ট অতশী মার্গারেট বায়ানের সাইকের সাথে যাত্রা শুরুর গল্প।
Journey With SAIC : Admission Story
সাইকের সাথে যাত্রাঃ পদার্পণের গল্প
সাইক নার্সিং কলেজ (SAIC Nursing College)
সাইক টাওয়ার, এম-১/৬, মিরপুর-১৪, ঢাকা।
(মিরপুর-১৩, সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে)
#Phone: 01726-653364, 01936-005804, (+880258051289-91)
- 1
- 2