আমাদের সম্পর্কে


বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ যখন উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছিল তখন আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অদক্ষ, অর্ধশিক্ষিত জনবল দ্বারা রোগ নির্ণয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছিল। সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য দক্ষ ও মানসম্পন্ন রোগ নির্ণয়কারি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তৈরি ও বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আর্ত পীড়িত মানুষের সেবা করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০০৫ সালে পথচলা শুরু হয় সাইক গ্রুপ পরিচালিত সাইক কলেজ অব মেডিকেল সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (SCMST)।

যাত্রা শুরুর প্রথম বছরেই SCMST অনুমোদিত আসন সংখ্যার সবকটিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে টেকনোলজি ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ১২ টি কোর্স ও ৭৭৯টি আসনে (সিট) উন্নীত হয় এবং অনুমোদিত সকল আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করতে সক্ষম হয়।

সময়ের পরিক্রমায় সেই প্রতিষ্ঠানটি আজ পেয়েছে পূর্ণতা। নিজস্ব ১০ তলা ভবন এবং সকল আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা সম্বলিত ডিজিটাল ক্যাম্পাস যা বর্তমানে আমাদের দেশে দৃষ্টান্ত। গত কয়েক বছরে বেসরকারি ও সরকারি ইনস্টিটিউট সমূহের মধ্যে অন্যতম সেরা মেডিকেল ইনস্টিটিউটে পরিণত হয়েছে।

দক্ষ ও যোগ্য টেকনোলজিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, ডেন্টিস্ট ও নার্স তৈরির লক্ষ্যে SCMSTতে Diploma in Medical Technology (প্যাথলজি, ফিজিওথেরাপি, ডেন্টাল, ফার্মেসি, নার্সিং, রেডিওলজি), ম্যাটস, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি, বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন ল্যাব মেডিসিন, বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক, পোস্ট বেসিক) কোর্স সমূহ চালু করা হয়েছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রত্যেকটি বিভাগে Theory Class এর সাথে সাথে Practical Class এবং ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়। ল্যাব ক্লাস গুলো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল Laboratory স্থাপনসহ দক্ষ টেকনোলজিস্ট, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন MBBS ডাক্তার, নার্স, BDS ও ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে।

Diploma Medical কোর্স সমাপ্তির পর প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালে ফিল্ড ট্রেনিং এর ব্যবস্থাসহ Job Placement Cell-এর মাধ্যমে চাকরি প্রাপ্তিতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়। এছাড়া কলেজের বহিঃবিভাগ ও নিজস্ব ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবে হাতে কলমে কাজ শেখার সুযোগ রয়েছে। SIMT থেকে ডিপ্লোমা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা এবং দিনাজপুর ক্যাম্পাসে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।

এই শিক্ষালব্ধ জ্ঞান পরবর্তী জীবনে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদান করে উন্নত স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করবে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা।

TOP